আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু।
দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বাংলাদেশে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। তাঁর এ সফরে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আর ঢাকার পক্ষ থেকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার, জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালসহ একাধিক বিষয় আলোচনায় রাখা হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন ডোনাল্ড লু। ঢাকা সফরকালে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে মার্কিন এই ক্ষমতাশালী প্রতিনিধির। আগামী ১৪ জানুয়ারি ঢাকা আসতে পারেন তিনি।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশবিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা হচ্ছেন ডোনাল্ড লু। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকেছিলেন তিনিই।
ওই বৈঠকে ডোনাল্ড লুর সফরের বিষয়টি উঠে আসে। সেখানে ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সবাই যাতে একই সুরে কথা বলেন সে বিষয়টিও উঠে আসে বৈঠকে। এ বৈঠক থেকে আইনের শাসন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার মোকাবিলায় একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
সফরটি দ্বিপক্ষীয় জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দ্বিপক্ষীয় সব বিষয় এতে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্র তার অগ্রাধিকার বিষয়গুলোর মধ্যে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পাশাপাশি শ্রম অধিকার, দরপত্র প্রতিযোগিতায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির বিষয়গুলোতে আলোচনা করবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, জিএসপি পুনর্বহাল, শান্তিরক্ষা ও প্রতিষ্ঠা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু, রোহিঙ্গাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হবে।
ডোনাল্ড লু ৩০ বছরের ওপর মার্কিন প্রশাসনে কাজ করছেন। ২০২১ সালে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি কিরগিজস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি আলবেনিয়ায়ও রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারতে মার্কিন দূতাবাসে উপপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই কূটনীতিক।