আল-আকসায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ
আল-আকসায় ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ
আবারও আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার ভোরে আল-আকসা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করে ইসরাইলি বাহিনী। সেখানে সেসময় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নামাজের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। ইসরাইলের দাবি, তারা মসজিদের মধ্যে জমা করা ইট ও পাথর সরিয়ে নিতেই ওই অভিযান চালায়। সহিংসতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এগুলো মসজিদে জড়ো করেছিল ফিলিস্তিনিরা। তবে তারা আল-আকসায় অভিযান চালানোর সঙ্গে সঙ্গে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান।
এ এলাকাটি মুসলিম এবং ইহুদি উভয় ধর্মের কাছেই অত্যন্ত পবিত্র হিসেবে বিবেচিত। প্রায়ই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বড় সংঘাতের শুরু হয় এখান থেকে।
গত বছর রমজান মাসজুড়ে এই এলাকায় অস্থিরতা বিরাজ করেছে। এবারও সেই একই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাতের ভিডিও। এতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনিরা পুলিশের দিকে ইট ও পাথর ছুঁড়ে মারছে। অপর দিকে ইসরাইলি পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করছে। এতে একাধিক আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানকার এক গার্ডের চোখে রাবার বুলেট আঘাত হেনেছে বলেও জানা গেছে।ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কয়েক ডজন মুখোশধারী ব্যাক্তি হামাসের পতাকা নিয়ে আল-আকসা এলাকায় মিছিল নিয়ে যায় এবং সেখানে পাথর জড়ো করে। পরবর্তীতে যাতে তারা সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য ইসরাইলি পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে পাথর সরিয়ে ফেলতে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। কিন্তু নামাজ শেষেই ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম দেয়াল লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে। ওই এলাকাটিতে প্রার্থণা করেন ইহুদিরা। ফলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হয় পুলিশ। তারা নিজে থেকে মসজিদে প্রবেশ করেনি বলেও নিশ্চিত করেছে।
ইসরাইলের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরাইলকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছে গোষ্ঠীটি। আল-আকসায় পুলিশ মোতায়েনকে বড় উস্কানি হিসেবে দেখে ফিলিস্তিনিরা। এটি মুসলিমদের কাছে মক্কা ও মদিনার পরে সবথেকে পবিত্র স্থান।