আলোচনায় বসে সঙ্কট সমাধান করুন, দু’নেত্রীকে এরশাদ
প্রতিবেদক : দু’নেত্রীকে একসঙ্গে বসে আলোচনা করে নির্বাচনী সঙ্কট সমাধানের আহবান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এমপি। তিনি বলেন, একসঙ্গে বসুন, আলোচনা করে সমাধান করুন, দেশে শান্তি ফিরে আসুক। আমরা শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। অন্যথায় মারামারি-কাটাকাটি ও ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার জন্য আল্লাহ আপনাদের মাফ করবে না।
শুক্রবার রাজধানী কাকরাইলে ১০ কোটি টাকায় কেনা জাতীয় পার্টির নিজস্ব অফিস উদ্বোধন শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এরশাদ বলেন, আজ দলের নেতাকর্মীদের জন্য আনন্দ-উত্সবের দিন। বহুদিন পর নেতাকর্মীরা একটি নিজস্ব কার্যালয় পেল। নতুন করে আজ জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়েছে। আগামীতে সরকার গঠন করে সেই যাত্রা শেষ হবে।
আগামী নির্বাচন নিয়ে আবারও শঙ্কা প্রকাশ করে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, দুদিন পর ঈদ। কিন্তু ঈদ উত্সব আজ ম্লান। কাল কি হবে জানি না। সর্বত্র অনিশ্চয়তা। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হবে কিনা জানি না। এজন্য আলোচনায় বসুন। সমাধান করুন। সৃষ্ট সঙ্কট থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে।
জাতীয় পার্টি অংশ না নিলে নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, এ মাস আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাস। নেতাকর্মীদের হতাশ হলে চলবে না। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বড় ফ্যাক্টর। আমাদের ছাড়া কোন উপায় নেই। আমরা অংশ নিলে নির্বাচন হবে অন্যথায় হবে না। তাই কিভাবে ক্ষমতায় যেতে হবে তা এখনি ঠিক করতে হবে।
দু’নেত্রীকে বড় স্বৈরাচার উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলাম। অথচ আজ গণতন্ত্র নেই, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিবেশ নেই। তাদের আমলে দেশ দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অধিকার আদায়ে মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। এরা আরও বড় স্বৈরাচার। মানুষ এ দুদলকে আর চায় না। পরিবর্তন চায়, তাদের কাছ থেকে মুক্তি চায়। আগামীতে সরকার গঠন করে আমরাই মানুষকে মুক্তি দেব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠনেতা কাজী জাফর আহমদ, বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের এমপি, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মোস্তফা জামাল হায়দার, ব্রিগেডিয়ার অব. কাজী মাহমুদ হাসান, গোলাম হাবিব দুলাল, মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, অধ্যাপক দেলোয়ার, ফখরুল ইমাম, এম এ সাত্তার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আহসান হাবিব লিঙ্কন, এসএম ফয়সল চিশতী, তাজুল ইসলাম, রিন্টু আনোয়ার, এটি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, আলমগীর সিকদার লোটন, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, আবু সৈয়দ, লিয়াকত হোসেন খোকা, এবিএম হারুনুর রশিদ বাশার, আবু হাসান আহমেদ জুয়েল, সৈয়দ মিজানুর রহমান হিমু ও সৈয়দ এফতেখার হাসান প্রমুখ।