আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সৌদি আবর-ইরান
আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সৌদি আবর-ইরান
ইরানের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করার জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে সৌদি সরকার। এর মধ্যেই বৈঠক আয়োজনের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহাদি রিয়াদ। এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির কাছে বার্তা পাঠায় সৌদি আরব।
১ অক্টোবর, মঙ্গলবার ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল মাহদির দপ্তরের কর্মকর্তা আব্বাস আল-হাসনাভি সংবাদ সংস্থা মিডল ইস্ট আই’কে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন। এমন খবর প্রকাশ করে পার্সটুডে।
আব্বাস আল-হাসনাভি জানান, প্রধানমন্ত্রী আদিল আব্দুল মাহাদি রিয়াদ এবং ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর বিষয়ে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন এবং আলোচনার জন্য দু’পক্ষের শর্তগুলো নিয়ে তিনি রিয়াদ এবং তেহরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
হাসনাভি বলেন, ‘ইরান এবং সৌদি আরব দু পক্ষের সঙ্গে আমাদের নেতৃত্বের যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের প্রশাসনের সুন্নী ভাইয়েরা সৌদি আরবের সঙ্গে এবং শিয়া ভাইয়েরা ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বৈঠকে বসার আগে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে অনেকগুলো শর্ত ছিল, একইভাবে ইরানের পক্ষ থেকেও শর্ত ছিল। দু’পক্ষের শর্ত নিয়েই দূতিয়ালি করতে হয়েছে যা খুব সহজ কাজ ছিল না। দুই মেরুর দুই পক্ষকে এক জায়গায় আনার বিষয়টি অনেক জটিল। এখানে মতাদর্শগত বিষয় রয়েছে, মাজহাবগত বিষয় রয়েছে এবং আঞ্চলিক জোটের ব্যাপার আছে।’
ইরাকের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আব্দুল মাহাদি আশা করছেন, বাগদাদের তত্ত্বাবধানে শিগগিরই সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে তবে বৈঠক কোথায় হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বৈঠকের জন্য বাগদাদ হতে পারে সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়।’
মূলত প্রথমদিকে ইরাক, ইরান এবং সৌদি আরবের কর্মকর্তা পর্যায়ে বৈঠক হবে, এরপর হবে চুক্তি। দুই দেশের নেতারা এই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য বৈঠকে বসবেন।
আব্বাস আল-হাসনাভি বলেন, ‘এ ধরনের আঞ্চলিক সম্ভাব্য চুক্তির ব্যাপারে আমেরিকার কোনো আপত্তি নেই। সম্ভাব্য বৈঠকের বিষয় নিয়ে ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফালি আল-ফাইয়াজ বর্তমানে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।’