আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ: যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গোলাগুলি, আবারো সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গোলাগুলি, আবারো সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা
নিজেদের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর গানজায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলার জন্য আর্মেনিয়াকে দায়ী করেছে আজারবাইজান।
আজেরি কর্তৃপক্ষ বলেছে, সকালে সেখানকার একটি আবাসিক ভবনে চালানো হামলায় নয়জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩০ জনেরও বেশি। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে আর্মেনিয়া। ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন আর্মেনিয়ার কর্মকর্তারা। তবে সেখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারকারীদেরকে লাশ বহন করতে দেখেছেন সাংবাদিকরা।
অন্যদিকে আর্মেনিয়ার একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, আজারবাইজান সারারাত ধরে গোলা বর্ষণের মাধ্যমে উস্কানি দিয়ে গেছে।
তবে নাগর্নো-কারাবাখ সরকারের প্রধান আরাইক হারুতিউনিয়ান দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে। যদিও দ্রুতই এর পরিবর্তন ঘটতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর আগে শনিবার দুই দেশই সংঘাত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল। মস্কোতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের মধ্যস্থতায় দুই দেশের কূটনীতিকরা এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন। কিন্তু এরপরও দুই পক্ষ থেকেই গোলাগুলি অব্যাহত ছিল। এজন্য শনিবারই পরস্পরকে দায়ী করেছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।
যুদ্ধবিরতি টিকবে?
এমন প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আদৌ টিকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই বিষয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া সরকারের সঙ্গে শনিবার রাতে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে।
তার মধ্যস্থতায়ই দুই দেশের কূটনীতিকরা এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিলেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আজারবাইজান ও আর্মেনিয়াকে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো মেনে চলতে আহবান জানিয়েছেন সের্গেই লাভরভ।
তবে, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও যেভাবে গোলাগুলি চলছে তাতে আবারো সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
এই লড়াইয়ে ইতোমধ্যে কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে দুই রাষ্ট্র হওয়ার পরই নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে সংঘাত বাধে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার।
১৯৯৪ সাল থেকে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার সেনা সহায়তায় সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদিও আন্তর্জাতিকভাবে নাগর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।
সূত্র : ডয়চে ভেলে