আরো বেড়েছে তেল ডাল ও ডিমের দাম
আরো বেড়েছে তেল ডাল ও ডিমের দাম
রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে আরো বেড়েছে সুপার পাম অয়েল, মসুর ডাল ও ডিমের দাম। তবে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির ও দেশি পেঁয়াজের। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার ও শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া যায়।
গতকাল বাজারে প্রতি লিটার সুপার পাম অয়েল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে তা ১৩৩ থেকে ১৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গত এক বছরের ব্যবধানে প্রতি লিটার সুপার পাম অয়েলে ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ দাম বেড়েছে। তবে সয়াবিনের দাম গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে বাড়েনি।
এর আগের সপ্তাহে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। গতকাল বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় ও বোতলজাত সয়াবিন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়। সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের দাম আরো বেড়েছে। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বড়দানা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। আর মাঝারিদানা মসুর ডাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। ছোটদানা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। টিসিবির হিসাবে গত এক বছরের ব্যবধানে বড়দানা মসুর ডাল ৩৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, মাঝারিদানা মসুর ডাল ২০ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও ছোটদানা মসুর ডাল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ দাম বেড়েছে। এদিকে গত দুই সপ্তাহ ধরেই ডিমের দাম বাড়তি।
গত সপ্তাহেও ডিমের দাম বেড়েছে। প্রতি হালি ফার্মের লাল ডিমে ১ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ টাকায়। তবে ভোক্তাদের জন্য সুখবর বলতে, সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। কাওরানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেছেন, বাজারে নতুন দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাই পণ্যটির দাম আরো কমতে পারে।
পেঁয়াজের পাশাপাশি গত সপ্তাহের শেষদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় আরো কমেছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা।