আমাদের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া? সবই তো একই ইতিহাস। হাজার হাজার যুব নেতাদের হত্যা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন আর স্যাংশন, আমাদের আমদানি সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। যুবলীগের নেতারা গ্রামে যান, নিজের জমি চাষ করতে হবে এবং অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ করতে হবে। বিএনপির নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির নেতারা কখনো ভেবেছিল বাংলাদেশের স্যাটেলাইট আকাশে উড়বে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা করে দিয়েছে। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এতে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এর আগে আজ সকাল থেকেই যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন। সকাল থেকেই বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে অগ্রসর হন নেতাকর্মীরা। পিকআপ, বাস ও ট্রাকে করে সমাবেশে যোগ দেন তারা। যুবলীগের মহাসমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তার জোরদার করা হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখে নেতাকর্মীদের তল্লাশি করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।