আমাকে বহিষ্কারের এখতিয়ার আ’লীগের নেই : লতিফ সিদ্দিকী
আমাকে বহিষ্কারের এখতিয়ার আ’লীগের নেই : লতিফ সিদ্দিকী
০২ আগস্ট ২০১৫,রবিবার
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, আামাকে বহিষ্কারের এখতিয়ার আওয়ামী লীগের নেই’। আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে চাওয়া বক্তব্যের জবাবে রোববার তিনি লিখিতভাবে এমন মন্তব্য করেন।
দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেয়া এক চিঠিতে তিনি তার সংসদ সদস্য পদ নিয়ে সৃষ্ট ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে শুনানি বিতর্কে না গিয়ে বিষয়টি স্পিকারের কাছে পাঠানোর অনুরোধ করেছেন।
লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত এ চিঠিটি জমা দেন। চিঠিটি ছিল সংসদ সদস্যের প্যাডে লেখা।
চিঠিতে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘ধর্ম অবমাননার বানোয়াট ও ভিত্তিহীন যে অভিযোগ আনা হয়েছে আলোচনার স্বার্থে তা যদি ধরেও নেওয়া হয় তা হলেও আওয়ামী লীগ থেকে সদস্যপদ বাতিল করার এখতিয়ার কেন্দ্রীয় সংসদের নেই। কারণ, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে বক্তব্য দিয়েছি বলে বিবেচনার সুযোগ নেই। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এবং সংবিধানের ৬৬ (৪) অনুযায়ী তা নিষ্পত্তি ও সংগতিপূর্ণ নয়।’
গত ১৩ জুলাই লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চিঠি দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গঠনতন্ত্র অনুসারে লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু তার আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও নেই, সেহেতু এই দলের মনোনয়নে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য পদেও তাঁকে বহাল রাখা সমীচীন হবে না।
এরপর লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে চিঠি দেন স্পিকার। ওই চিঠির সঙ্গে সৈয়দ আশরাফের চিঠিটিও যুক্ত করেন স্পিকার।
চিঠিটি পাওয়ার পর ইসি আওয়ামী লীগ ও লতিফ সিদ্দিকীর কাছে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। রোববার ব্যাখ্যা দেয়ার শেষ দিন।