আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ফিরে পেতে চাই, ঢাকার সব প্রবেশপথে অবস্থানের ঘোষণা শনিবার: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আশা করবো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের সহযোগিতা করবে। প্রশাসন এবং সরকার যেন সহযোগিতা করে সেই প্রত্যাশা আমরা করছি। তিনি বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। কারণ তাদের অধীনে কোনো নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে না। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অডিও বক্তব্য প্রচার করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, এক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কি সমাবেশ আটকে রাখা গেছে। যায়নি, সামনেও যাবে না। অনুমতি নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করা যাবে না। এবারও চাইনি। শুধু অবহিত করেছিলাম। আমাদের অনুমতির আর কোনো প্রয়োজন নেই। আজকের এই জনসমুদ্র রায় দিয়ে গেলো, আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আর কেউ বাধা দিতে পারবে না। জনগণ ফুঁসে উঠেছে। এদের আর থামাতে পারবেন না।
তিনি বলেন, একমাত্র রাস্তা হলো ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। আমাদেরও দাবি তাই। সরকারের পদত্যাগ এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণ এই সরকারের পাশে নাই। এক দফা দাবিতে আয়োজিত এই মহাসমাবেশে দলটির কয়েক লাখ নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। দুপুরের আগেই সমাবেশ এলাকা লোকারণ্য হয়ে ওঠে। দুপুরের পর তুমুল বৃষ্টি হলেও নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে অবস্থান করেন। বেলা সোয়া ২টায় শুরু হওয়া সমাবেশে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। মহাসমাবেশ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে উত্তাপ, উত্তেজনা থাকলেও শান্তিপূর্ণভাবেই মহাসমাবেশ শেষ হয়। যদিও নেতারা অভিযোগ করেন নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে পথে পথে বাধা দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হয়েছে।