আবেগী সালমানের দুঃসহ একটি দিন
আবেগী সালমানের দুঃসহ একটি দিন
সালমান খানের নামের পাশে ব্যাড বয় তকমাটা জুড়েছে ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলার পর থেকেই। এর বাইরে বিভিন্ন ছবিতে অ্যাকশন দৃশ্যে কঠিন সালমানকেই আবিষ্কার করা গেছে। কিন্তু সালমান আসলে নরম মনের মানুষ। এটা তার কাছের লোকরা অকপটে স্বীকার করে নেবেন। কিন্তু আবেগটাকে প্রদর্শন করেন না তিনি। এটাই তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। নিজের প্রতিষ্ঠিত এনজিওর মাধ্যমে অসংখ্য অসহায় মানুষের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন। ৬০০ শিশুর হার্টের সার্জারির ব্যবস্থা করা হয়েছে এখান থেকে। ব্যক্তিগতভাবেও বলিউড তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দান করে থাকেন সাল্লু। অনাকাঙ্ক্ষিত ‘হিট অ্যান্ড রান’ মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের পর গতকাল নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি বলিউডের সবচেয়ে সফল এ তারকা। কালো রঙা সানগ্লাস সরিয়ে চোখ মুছেছেন কয়েক দফা। আদালতের চোখে সালমান আসামি হলেও তার অনেক ভক্তই বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে মানে করছেন। গতকাল দিনভর সালমান একটি দুঃসহ দিন পার করেছেন। ভোর ৬টায় ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। সাড়ে আটটায় সালমানের মুম্বইয়ের বাসায় আসেন বাবা সেলিম খান ও ছোট
ভাই সোহেল খান। ৯টায় পরিবার ও সালমানকে সান্ত্বনা দিতে আসেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান ও বন্ধু বাবা সিদ্দিকী। ৯টা ২৭ মিনিটে আদালতের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য নেমে আসেন সাল্লু। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা শার্ট, জিন্স ও কালো রঙা সানগ্লাস। ১০টা ১৭ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি। এ সময় আদালতের সামনে কেবল মিডিয়াকর্মী ও আইনজীবীদের থাকার অনুমতি ছিল। তার পরও সালমানের অসংখ্য ভক্ত তার জন্য শুভকামনার প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। ১০টা ২০ মিনিটে সালমানের ভাই আরবাজ খান ও সোহেল খান আদালতে আসেন। ১০টা ৪৯ থেকে ১১টা ১৫ পর্যন্ত কোর্ট সব সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এ সময় তার বোন অর্পিতা খান ও আলভীরা খান কান্নায় ভেঙে পড়েন। আদালত শেষে কিছু বলার আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে সালমান নীরব থাকেন। পরে ১টা ৩৩ মিনিটে সালমানকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। কেঁদে ফেলেন আবেগী সালমান। কেঁদেছেন আদালতে উপস্থিত অনেকেই। সালমানের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে একে একে তার বাসায় আসেন প্রীতি জিনতা, সংগীতা বিজলানি, সোনাক্ষি সিনহা, সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয় প্রমুখ।