আবারও কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

02/08/2016 5:01 pmViews: 5

আবারও কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

24009_pm

বিটুমিনের (পিচ) রাস্তা ‍সামান্য বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায় উল্লেখ করে বিটুমিনের বদলে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণে ফের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংক্রিটের সড়ক দীর্ঘস্থায়ী। আলাদা স্থানে ছোট ছোট কংক্রিটের ব্লক তৈরি করতে হবে। এরপর ব্লকগুলো সড়কে বসিয়ে দিতে হবে।

বৈঠক শেষে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, ‘এর আগেও বলেছেন, এবারও কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বর্ষা-বাদলে বিটুমিনের রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু কংক্রিটের রাস্তা অনেক ভালো। কংক্রিটের ব্লক নির্মাণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি’।

একনেক বৈঠকে ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা, ড্রেন নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ এবং বৃক্ষরোপন’ প্রকল্পটি ১৯১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান কার্যক্রম ৯ হাজার ২৬০ মিটার বিটুমিনাস কার্পেটিং রোড সংস্কার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিটুমিনের পরিবর্তে কংক্রিটে যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট একনেকের বৈঠকে পর্যায়ক্রমে দেশের সব রাস্তাঘাট কংক্রিট দিয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিদ্যমান রাস্তাঘাট নির্মাণ পদ্ধতির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাটের কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে। একই সঙ্গে রাস্তাঘাট কংক্রিট দিয়ে নির্মাণ করতে হবে। ইট-শুড়কির ওপরে বিটুমিন ও পিচের ঢালাইয়ে রাস্তাঘাট নির্মাণ হওয়ার কারণে পাঁচ বছর না যেতেই তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কংক্রিটের রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এতে জনভোগান্তিও কমবে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সূত্র জানায়, একটু বর্ষা হলেই বিটুমিনের সড়কের বেহালদশা হয়ে যায়। ফলে বিটুমিনের কারণে প্রতি বছরেই বেড়ে চলেছে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত ব্যয়।

সরকারের রাজস্ব ও উন্নয়ন খাতের আয় থেকে সড়কগুলোর উন্নয়ন ও মেরামত করা হচ্ছে প্রতি বছর। এ খাতে সওজের মোট চাহিদা প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। যথাযথভাবে আর্থিক সংস্থান না হওয়ার কারণে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করে ২১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সড়ক কোনোমতে মেরামত করা হচ্ছে। ফলে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন কোনোমতে চলাচল করতে পারে। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও আগের অবস্থায় ফিরে আসছে সড়কগুলো। দেশে বর্তমানে ৬১টিরও বেশি সিমেন্ট কারখানা রয়েছে। এ কারখানাগুলোতে দেশের সিমেন্টের মোট চাহিদার দ্বিগুণ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে সিমেন্ট কারখানাগুলো পুরো মাত্রায় উৎপাদনে যেতে পারবে।

Leave a Reply