আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে সাহায্য করার লক্ষ্যে মুসলিম বিশ্ব তহবিল গঠন করছে
আফগানিস্তানে মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে সাহায্য করার লক্ষ্যে মুসলিম বিশ্ব তহবিল গঠন করছে
পাকিস্তানের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বলা হয় এই তহবিল প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের মাধ্যমে এবং এ থেকে আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা হবে। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
গত আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে থাকা বিদেশী সেনা সরিয়ে আনার পর পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হঠিয়ে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এই প্রথম দেশটিকে সহায়তার লক্ষ্যে বড় কোন আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো।
এর আগে তালিবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী ওআইসি বৈঠকে বলেন তাদের সরকার জাতীয় রাজনীতিতে সর্বস্তরের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি করবেন এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ মানবাধিকার উন্নত করবেন। ওআইসির রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেয়া মুত্তাকীর ভাষণ প্রকাশ করে তালিবান।
ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমা মিত্ররা আফগানিস্তানের ৯.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ, যার বেশিরভাগ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে, সেটি জব্দ করেছে যেন তালিবান তা ব্যবহার করতে না পারে। তাদের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশটি, যার বেশিরভাগই নির্ভরশীল বিদেশী সাহায্যের ওপর, সেখানে মানবিক নয় এমন সহায়তা বন্ধ রেখেছে।
মুত্তাকী আফগানিস্তানের জব্দ থাকা সম্পদ খুলে দেয়ার এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দাবী জানিয়ে বলেছেন, “স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজ সেবা দুর্বল অবস্থায়, এতে কেবল সাধারণ জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে”।
ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধন করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সতর্ক করে দিয়ে বলেন গোটা বিশ্ব জরুরিভাবে পদক্ষেপ না নিলে আফগানিস্তানের মানবিক সংকট ‘বিশ্বের সর্ববৃহৎ মনুষ্য সৃষ্ট সংকটে’ পরিণত হতে পারে। তিনি কাবুলের বিরুদ্ধে নেয়া নিষেধাজ্ঞা শর্তহীনভাবে তুলে নেয়া এবং আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার জন্যে তাদের সম্পদ জব্দ না রাখার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অনুরোধ জানান।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি থমাস ওয়েস্ট সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে যোগ দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস।