আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না সালমানকে
প্রকাশ : ০৯ মে, ২০১৫
মুম্বাই হাইকোর্ট বলিউড অভিনেতা সালমান খানের ৫ বছরের সাজা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ১৩ বছর আগে ২০০২ সালে গাড়ি চাপা দিয়ে এক পথচারীকে হত্যার দায়ে তাকে এ সাজা দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করায় শুক্রবার তা স্থগিত করা হয়।
এ মামলায় জামিনের আবেদন করতে হলে আগে সালমানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আদালত। যেহেতু আজ তার অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাই জামিনের জন্য তাকে নতুন করে ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করতে হবে। ব্যক্তিগত ৩০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেয়া হবে তাকে। এ দিন সালমানের আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, দুর্ঘটনার সময় সালমানের গাড়িতে ছিলেন তার বন্ধু কামাল খান। কিন্তু মামলা চলাকালীন কামাল খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি দায়রা আদালত। কামাল খান এখন বিদেশে রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে মুম্বাই হাইকোর্ট। তার আগ পর্যন্ত বহাল থাকবে সালমানের জামিন।
বুধবারই দায়রা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সালমানের আইনজীবী অমিত দেশাই মুম্বাই হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। শুক্রবার মুম্বাই হাইকোর্টে সেই আবদনের শুনানি ছিল। আইনজীবী বলেন, দায়রা আদালত গাড়ির মধ্যে থাকা চতুর্থ ব্যক্তির উপস্থিতি এড়িয়ে গেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি তাকে। দুর্ঘটনার সময় গাড়ির গতি ৯০-১০০ কিলোমিটাররে মধ্যে ছিল বলেও জানান অমিত দেশাই। সে সঙ্গে সালমানই যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন সে বিষয় দায়রা আদালতে প্রমাণ হয়নি বলেও দাবি করেন অমিত দেশাই।
দায়রা আদালতের বিচারপতি ডিডব্লিউ দেশপান্ডে বুধবার সালমানের বিরুদ্ধে ওঠা সবক’টি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ঘটনাটি ঘটে। বান্দ্রার ফুটপাথে ঘুমন্ত পাঁচজনকে পিষে দেয় সালমানের বিলাসবহুল সাদা রঙের টয়োটা এসইউভি ল্যান্ড ক্রুজার। এতে এক পথচারী নিহত ও অপর চারজন মারাÍকভাবে আহত হন। টানা ১৩ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর বুধবার বলিউড সুপারস্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেন মুম্বাইয়ের দায়রা আদালত। দায়রা আদালতের বিচারক ডিডব্লিউ দেশপান্ডে সালমান খানকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানার নির্দেশ দেন।
গত ২ বছরের মধ্যে সঞ্জয় দত্তের পর সালমান খান হচ্ছেন সাজাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় নামকরা বলিউড অভিনেতা। সূত্র : এএফপি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।