আন্দোলনে আপত্তি নেই, মানুষের ক্ষতি যেন করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির আন্দোলনকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন করুক আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে মানুষের ক্ষতি যেন করতে না পারে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বিএনপির কথা-কাজ সবই ধ্বংসাত্মক। এখন তারা (বিএনপি) অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। আমি সমালোচনা করতে চাই না। তবে দেশবাসীকে সতর্ক করব। আজকের উন্নয়ন তারা ধ্বংস করুক, সেটা আমরা চাই না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে এ দেশের উন্নয়নে জাতির পিতার আদর্শে কাজ করেছে। দেশকে আরও উন্নত করাই সরকারের লক্ষ্য। সড়কে অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে, এজন্য চালকদের কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সড়কে অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা পরিহার করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা তাদের সহায়তা করেছি। অগ্নিসন্ত্রাসেও অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আমরা তাদেরও সহযোগিতা করেছি। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে যেনো এ ধরনের অগ্নিসন্ত্রাসের পরিস্থিতি না আসে। আমি বলেছি, কেউ আগুন দিতে আসলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যদি কোনো কারণে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের দেখা পান, তখন কি পদ্মা সেতু ভেঙে ফেলবেন? মেট্রোরেল ভেঙে ফেলবেন? রূপপুরে পানি দেবেন? ক্ষমতায় এলে রূপপুর নাকি বন্ধ করে দেবে। আমি বলেছি, এই ইউরেনিয়াম ফখরুলের মাথায় ঢালতে হবে, তাহলে শিক্ষা হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি সড়কের কোনো মিটিংয়ে রাজনীতি নিয়ে কথা বলি না। আজ বললাম, এখন সবসময় বলবো। কারণ এটা আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের অস্তিত্বের রাজনীতি। এ লড়াই অনেক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটা দল আজ দিনরাত বিষোদগার করে। যার সঙ্গে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী কী বডি ল্যাঙ্গুয়েজ করেছেন, আপনারা দেখেছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে নিজে সেলফি তুলেছেন। এটা অন্য কিছু না। সমর্থন করছেন, তাতে আমরা আনন্দিত সেটিও না। শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন, এটাই বড়। সমর্থনের কথা বলে লাভ নেই। চারদিকে আগুন। অনেকে নিজের ঘরই সামলাতে পারছে না।