আজ শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর দিন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন পালিত হচ্ছে আজ শনিবার। আজ ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ১টা নীল ক্যাপসুল এবং ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে ১টি লাল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সারা দেশে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখেরও অধিক শিশুকে এ কার্যক্রমের আওতায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্র খোলা থাকবে। শিশুদের ভরাপেটে কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে। কাঁচি দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে এর ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হবে। জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আজ দেশব্যাপী ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্রসহ অতিরিক্ত ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রগুলো বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, ব্রিজের টোল এলাকা, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে অবস্থান করবে। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে তিন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবে। তবে দুর্গম এলাকায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন সফল করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেন-এর দিন প্রতিটি উপজেলায়, জেলায় ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একটি স্বাস্থ্য বার্তাও সকলকে পৌঁছে দেয়া হবেঃ ‘পূর্ণ ৬ মাসের শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য সকলকে বলুন।’ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। শুধুমাত্র বছরে ২বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। ১৯৮২ সালে যেখানে বছরে শতকরা ৩.৭৬ শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো, এখন সেখানে এই হার শতকরা ০.০৪ ভাগে নেমে এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকার পরিচালিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেন এবং সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে।