আগামী অর্থ বছরেই নতুন পে-স্কেল
আগামী অর্থ বছরেই সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করা হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত ১৫ সদস্যের বেতন ও চাকরি কমিশন বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে দুটি সভায় তাদের মতামত সংগ্রহ করেছে। সংগৃহিত তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে পিতামাতাসহ অনূর্ধ্ব-৬ জনের একটি পরিবারের জীবন যাত্রার ব্যয় নির্বাহের বিষয়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনায় রেখে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সেলিম উদ্দিন এর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও বিএনপি-জামায়াত শিবিরের ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের কারণে বেতন ও চাকরি কমিশন কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। তবে কমিশনের সুপারিশ আগামী ৬ মাসের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে সরকার ২০১৩ সালের ১ জুলাই হতে ২০ শতাংশ মহার্ঘভাতা চালু করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সর্বনিম্ন ১৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা বেশি পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করে। এসময় সর্বনিম্ন বেতনক্রম ২৪০০ টাকা হতে ৪৩১০ টাকা এবং ৪১০০ টাকা হতে ৭৭৪০ টাকা। সর্বোচ্চ ২৩ হাজার টাকা হতে ৪০ হাজার করা হয়।
নজরুল ইসলাম চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের উত্তরে পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক পরিচালিত লেবার ফোর্স সার্ভে ২০১০ সালের প্রতিবেদন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৫ কোটি ৬৭ লাখ।
এরমধ্যে ২৬ লাখ বেকার, যা শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে ১৫ বছর বয়স হতে ২৪ বছর পর্যন্ত শ্রমশক্তির পরিমাণ ২ কোটি ৯ লাখ। বেকারত্বের এই হার বেশিরভাগ তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দেশে প্রতিবছর ৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে শ্রমশক্তি বৃদ্ধি পায় বলেও জানান তিনি।