আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, ‘দেশে এত উন্নয়ন কাজ করার পরও দুই সিটি নির্বাচনে বেশির ভাগ ভোটার কেন ভোট দেওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেললেন, অঙ্ক কষে উত্তর বের করতে হবে। শুধু মুজিব কোট লাগিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা যাবে না। এ রকম চললে আগামীতে ভোট পাওয়া যাবে না।’
শুধু মুজিব কোট লাগিয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা যাবে না:নাসিম
আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এমপি বলেছেন, ‘দেশে এত উন্নয়ন কাজ করার পরও দুই সিটি নির্বাচনে বেশির ভাগ ভোটার কেন ভোট দেওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেললেন, অঙ্ক কষে উত্তর বের করতে হবে। শুধু মুজিব কোট লাগিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা যাবে না। এ রকম চললে আগামীতে ভোট পাওয়া যাবে না।’
শুক্রবার দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তৃণমূল প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ তৃণমূল প্রতিনিধি সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘তাই বলতে চাই, সিটি নির্বাচনে যা হয়েছে তাতে আনন্দিত হওয়া যাবে না। ভোটরবান্ধব হতে হবে। তা হলেই আগামীতে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারো জয়লাভ করবে।’
এ সময় মোহাম্মদ নাসিম আরো বলেন, ‘সারা বছর খবর নেন না, শুধু ভোটের সময়ে গিয়ে ভোটারের সাথে পরম আত্মীয়র মত ব্যবহার করেন। এভাবে ভোট প্রার্থনা করলে হবে না। সুখে-দুঃখের সাথী হন ভোটারদের। তবেই কর্মী ও ভোটাররা ভোটের সময়ে নেতাকে আপন ভেবে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবেন। ভাববেন না, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম মনে করে ভোটাররা বার বার ভোট দিতে যাবেন। ভোটারদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপি একটি মাজা (কোমর) ভাঙ্গা দল।তারা আন্দোলনে নামতে পারে না, ভয় পায়। নির্বাচনের দিন ঘর থেকে বের হয় না। নিজেদের দল নেই, তারা অন্য দলের নেতাদের ভাড়া করে।ঐক্যফ্রন্ট নেতা কামাল হোসেন সাহেবদের কাছে ধর্না দেয়। তাও সফল হতে পারেনি। তাই মনে রাখতে হবে, সামনে কঠিন সময়। সবাইকে একসাথে লড়াই করতে হবে।’
প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যখন বিপদে পড়েছে তখন অনেক নেতা সুর পাল্টিয়েছেন। দলের মধ্যে অনেক অনুপ্রবেশকারী ঢুকে ঘাপটি মেরে আছে। এদের চিহ্নিত করে বের করে দিন। যারা সুবিধা নেওয়ার জন্য দলে ঢুকেছে তারা আর কোনো পদ পাবে না। টাকাওয়ালা দেখে দলের নেতা বানানো যাবে না।’ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপির পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন-আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, মেরিনা জামান, আকতার জাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপি, সহ-সভাপতি মকবুল হোসন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি প্রমুখ।