আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে বিএনপির অভিনন্দন
আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিকে বিএনপির অভিনন্দন
জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠক শেষে স্বাগত জানানো হয়।
বিকাল সাড়ে ৪ টায় শুরু হওয়া বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপের মাধ্যমে যোগ দেওয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা যেহেতু একটি রাজনৈতিক দল, আমরা সকল রাজনৈতিক দলকে সবসময় সহযোগিতা করি, স্বাগত জানাই এবং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে যেহেতু নতুন নেতৃত্ব গঠন করা হয়েছে। আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা আশা করবো, এই নতুন কার্যকরী পরিষদ গঠিত হয়েছে, এই কার্যকরী পরিষদ তাদের অতীতের অপকর্মগুলোকে ভুলে গিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করবার জন্যে তারা অতিদ্রুত একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যে নির্বাচনটি একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচাললায় অনুষ্ঠিত হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেবেন।
আওয়ামী লীগের অতীত কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন,‘ আওয়ামী লীগ একটি পুরনো ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল এবং নিঃসন্দেহে তারা এই জাতির গঠনে, জাতির স্বাধীনতা লাভে এবং গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য অতীতে অনেক গৌরবময় অধ্যায় তাদের রয়েছে, ইতিহাস রয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই দলটির হাতেই বার বার গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে তারা একবার বাকশাল করেছিলো আবার এই একদশক ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সব কাজ সমাপ্ত করেছে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নবম বারের মতো সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ও দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ওবায়দুল কাদের পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।শনিবার দুপুর ১টার দিকে ২১তম জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। সমর্থন করেন পীযুষ ভট্টাচার্য। দুইজনেই আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ওবায়দুল কাদেরর নাম প্রস্তাব করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। সমর্থন করেন আব্দুর রহমান। সেই প্রস্তাবও কণ্ঠভোটে পাস হয়।