অস্থিরতার ক্ষতিতে ‘বিশেষ ছাড়’ চায় ডিসিসিআই

06/05/2015 1:29 pmViews: 6

অস্থিরতার ক্ষতিতে ‘বিশেষ ছাড়’ চায় ডিসিসিআই

বিএনপি জোটের কর্মসূচিতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ‘বিশেষ ছাড়’ চেয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি।

এজন্য ব্যবসায়ীদের বন্দর শুল্ক, বিভিন্ন চার্জ ও জরিমানার ৫০ শতাংশ মওকুফ করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এই প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ।

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।

হোসেন খালেদ বলেন, “টানা তিন মাসের অবরোধ কর্মসূচির ফলে দেশের ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেনি, যার ফলে তাদের জন্য সঠিক সময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ‘বিশেষ কর ছাড়’ দিয়ে তাদের সহায়তা করার প্রস্তাব করছি।”

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, “রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বিভিন্ন বন্দর থেকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পণ্য খালাস না হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীদেরকে অতিরিক্ত হারে বন্দর শুল্কসহ বিভিন্ন চার্জ ও জরিমানা বহন করতে হয়েছে।

“তাই ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সব ধরনের বন্দর শুল্কসহ বিভিন্ন চার্জ ও জরিমানার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ মওকুফের আহ্বান জানাচ্ছি।”

আগামী অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছে ডিসিসিআই।

করপোরেট করের হার মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর জন্য ৩৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ, লিস্টেড কোম্পানির জন্য ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোর জন্য ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) হার ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ নির্ধারণের প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন তিনি।

একইসঙ্গে বেসরকারি সফটওয়্যার পার্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে ২০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি।

কালো টাকার উৎস বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে হোসেন খালেদ বলেন, “এনবিআর করদাতাদের সম্মানার্থে সীমিতভাবে হলেও ট্যাক্স কার্ড দেওয়া শুরু করেছে।

“শুধুমাত্র ভিআইপিদের ‘ট্যাক্স কার্ড’ না দিয়ে সব করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড দিলে করদাতারা কর দেওয়ায় উৎসাহিত হবে।”

আলোচনা সভায় এনবিআরের শুল্ক, আয়কর ও মুসক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply