অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩ উইকেটে জয়
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ৩ উইকেটে জয়
দীর্ঘ ১৮ বছর পর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজে টানা দুই ওয়ানডে হেরে যায় তারা। তবে শেষটা রাঙিয়েছে রেগিস চাকাভার দল। শনিবার টাউন্সভিলে তৃতীয় ওয়ানডেতে বার্ল-ইভানসদের বোলিংয়ে মাত্র ১৪১ রানেই অলআউট হয় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। জবাবে মারুমানি-চাকাভাদের নৈপুণ্যে ৬৬ বল হাতে রেখেই জয় বন্দরে পৌঁছায় জিম্বাবুয়ে।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭২ রানে ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
৫৭ রানের এই জুটি ভাঙে বার্লের তৃতীয় বলেই। স্লগ করতে গিয়ে শূন্যে বল তুলে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। এক বল পরই ফুল টস ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলে দেন অ্যাশটন অ্যাগার।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে বার্ল সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন ওয়ার্নারকে। স্লগ সুইপ খেলে মিড উইকেট সীমানায় ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৯৬ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ৯৪ রান করেন অজি ওপেনার। তৃতীয় ওভারে ফিরে মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডকে আউট করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে দেন বার্ল।
মাত্র ৩ ওভার বোলিং করে ১০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন রায়ান বার্ল। ওয়ানডে ইতিহাসে কোনো ম্যাচে সবচেয়ে কম ওভার বল করে ফাইফার নেয়ার রেকর্ড এটি।
ওয়ানডেতে সবচেয়ে কম ওভার বোলিংয়ে ৫ উইকেটের আগের রেকর্ড ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশের। ১৯৮৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর শারজায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪.৩ ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বার্লের জাদুকরি বোলিংয়ের আগে ৬ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ব্র্যাড ইভানস। একটি করে উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর এনইয়াওচি ও সিন উইলিয়ামস।
টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ৩৯ ওভারে জয় নিশ্চিত করে জিম্বাবুয়ে। তাদের ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। ত্রিশের কোঠা পেরিয়েছেন মারুমানিও। ৪৭ বলে চার বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেন তিনি। এছাটা কাইতানো ১৯, টনি মুনইয়োঙ্গা ১৭ ও রায়ান বার্ল ১১ রান করেন।
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে জয়ের কীর্তি গড়লো জিম্বাবুয়ে। অজিদের বিপক্ষে এটি তাদের ৩য় ওয়ানডে জয়। প্রথম জয় ১৯৮৩ এবং দ্বিতীয় জয় ২০১৪ সালে।