অর্থ লোপাটের ঘটনায় অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি বিএনপির

12/03/2016 6:15 pmViews: 3
অর্থ লোপাটের ঘটনায় অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি বিএনপির
 
অর্থ লোপাটের ঘটনায় অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি বিএনপির
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা (এ পর্যন্ত সরকারের স্বীকারকৃত) লোপাট বা চুরি হয়ে গেছে। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ন্যাক্কারজনক জালিয়াতির ঘটনা এটি। এ টাকা চুরিতে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের প্রভাবশালী মহল ও সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত। যা বাংলাদেশ ব্যাংকও স্বীকার করেছে। আর দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা এখন উড়ছে ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বিএনপির পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, ৮০০ কোটি টাকা চুরি হয়ে যাওয়ার পরও অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কোন নৈতিক অধিকারে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন, তা দেশবাসী জানতে চায়। আমরা অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।
অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সকল ব্যাংক লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে বিচারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ নেতারা যারা গত তিন বছরে সরকারি কাজের বাইরে ঠুনকো অজুহাতে সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, হংকং, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, দুবাই ভ্রমণ করেছেন। তাদের পাসপোর্ট যাচাই করে অনুসন্ধান করলেই এ আন্তর্জাতিক জালিয়াতি চক্রের রাঘববোয়ালদের সংশ্রব বেরিয়ে আসবে। ইতোমধ্যে কয়েকজন রাঘববোয়াল পর্যায়ের কর্মকর্তার পাসপোর্টও জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের দশ কোটি দশ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি- হ্যাক করে এই অর্থ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের বিশাল অংকের অর্থ দেশের বাইরে থেকে অজ্ঞাতনামা হ্যাকার’রা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হ্যাক করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বলছে- তাদের এখান থেকে হ্যাকিং হয়েছে এর কোন প্রমাণ নেই। তারা এর দায় পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশের ওপরই চাপিয়েছে। কয়েক মাস পূর্বে দেশের আর্থিক খাতে এতবড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার খবর পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করে লুকোচুরি শুরু করে। পরে ঘটনার সত্যতা এবং পত্র পত্রিকার আলোচনা-সমালোচনায় তারা বিষয়টি স্বীকার করত: নড়েচড়ে বসেন।

Leave a Reply