অর্থপাচার মামলায় ড: মোশাররফের জামিন
অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে স্থায়ী জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তার আইনজীবী জানিয়েছেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে সব মামলার জামিন থাকায় তার মুক্তিতে কোনো বাধা নেই। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগার-১ এ আছেন।
বুধবার আদালতে মোশাররফ হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হুদা, ব্যারিস্টার মারুফ হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবি জানান, তিন শর্তে খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে জামিন দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো- পাসপোর্ট আদালতের কাছে জমা রাখতে হবে; আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যাওয়া যাবে না এছাড়া বিদেশের লয়ার্স ব্যাংকে মোশাররফ হোসেনের যে টাকা জমা আছে সে টাকাগুলো লেনদেন করা যাবে না।
নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ‘খন্দকার মোশাররফ হোসেন একজন অসুস্থ ব্যক্তি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছ্নে। এছাড়া বিদেশের লয়ার্স ব্যাংকে মোশররফের জমানো টাকা তার অর্জিত আয়ের টাকা, আত্মসাতের কোনো টাকা নয়। আদালত এসব বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে খন্দকার মোশরাররফ হোসেনকে জামিন দেন।
উল্লেখ্য, এ মামলায় তিনি ১ বছর ৫ মাস ধরে কারাগারে আটক আছেন। ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা যুক্তরাজ্যে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০২ এর ধারায় দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের