অভিবাসী সংকটের দায় নিচ্ছে না মিয়ানমার
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাগরে অভিবাসী সংকটের দায় নিতে চাইছে না মিয়ানমার। দেশটির সরকার জানিয়েছে, সাগরে ঝুঁকিতে থাকা ওইসব অভিবাসীদের বিষয়ে তাদের কোন দায়িত্ব নেই।
মিয়ানমার প্রেসিডেন্টের দপ্তর বলেছে, এ বিষয়ে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও আমন্ত্রণপত্রে রোহিঙ্গা শব্দের উল্লেখ থাকলে দেশটি তাতে যোগ নাও দিতে পারে।
মিয়ানমারের উপকুলের কাছাকাছি মুক্তিপণের জন্য একহাজারের বেশি অভিবাসীকে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কয়েক হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী এখনো নৌকায় আন্দামান সাগরে ভাসছেন।
জাতিসংঘের আহবান উপেক্ষা করে তাদেরকে নিজেদের তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী।
অপরদিকে খাবার বা পানি ছাড়াই নৌকায় তাদের রেখে পালিয়ে গেছে পাচারকারীরা।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এই অভিবাসীরা চরম মানবিক সংকটে রয়েছে এবং তাদের জীবনসংশয়ও দেখা দিয়েছে। সেখানে খুবই বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় ঘটতে চলেছে। সমুদ্রে অনেক নৌকায় অসংখ্য মানুষ ভাসছে, যারা খাবার ও পানির অভাবে মারা যেতে বসেছে। তবে কোন দেশই তাদের রক্ষায় ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
মিয়ানমারের উপকুলে কমপক্ষে পাঁচটি নৌকা একহাজারের বেশি অভিবাসীকে আটকে রেখেছে পাচারকারীরা, যাদের মুক্তিপণ দেয়া না হলে ছাড়া হবে না বলে তারা জানিয়েছে।
অভিবাসীদের এই সংকটের বিষয়ে আলোচনার জন্য ১৫টি দেশকে নিয়ে এক জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে থাইল্যান্ড।
তবে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, তাদের আমন্ত্রণ পত্রে রোহিঙ্গা শব্দের উল্লেখ থাকলে তারা ওই বৈঠকে অংশ নেবে না। এছাড়া অভিবাসী সংকটের দায়িত্বও তাদের নয় বলে দেশটি দাবি করেছে।
এদিকে নৌকায় থাকা অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষকে আহবান জানিয়েছে জাতিসংঘ। অথচ এই আহবান উপেক্ষা করেই নৌকাগুলোকে গভীর সমুদ্রে ঠেলে দিচ্ছে দেশগুলো। বিবিসি।