অভিনয়ে একদশক পেরিয়ে মম
অভিনয়ে একদশক পেরিয়ে মম
‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবার পর ২০০৭ সালের ৩১ আগস্ট তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ চলচ্চিত্রের মধ্যদিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন তিনি। দেখতে দেখতে অভিনয় জীবনের পথচলায় এক দশক পূর্ণ করেছেন মম।
অভিনয় জীবনের শুরুতেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তির আনন্দটা দারুণভাবে উপভোগ করতে পারেননি। এখন বয়স একটু বেড়েছে মম’র। পুরস্কারের মর্যাদাও উপলদ্ধি করেন হৃদয় দিয়ে। তাই মম’র আশা যেন এখন কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি এই সম্মাননা অর্জন করতে পারেন। সেই আশায় ভালো ভালো কিছু চলচ্চিত্রে কাজও করছেন তিনি। চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের গভীরে প্রবেশ করে অভিনয় করছেন আপনমনে।
ঠিক তেমনি একটি চরিত্র আলতা। অরুন চৌধুরী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আলতাবানু’তে নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি শেষ করেছেন তানিম রহমান অংশু’র ‘স্বপ্নবাড়ি’ চলচ্চিত্রের কাজ। দুটো চলচ্চিতেও তার বিপরীতে আছেন আনিসুর রহমান মিলন।
‘আলতাবানু’ প্রসঙ্গে মম বলেন,‘ এটি এমন একটি চলচ্চিত্র যা দর্শক এক বসাতেই উপভোগ করবেন। সহজে বলতে গেলে বলা যায় এটি একটি ভালো চলচ্চিত্র। ‘স্বপ্নবাড়ি’ও ঠিক তাই। দুটো চলচ্চিত্র নিয়ে আমি ভীষণরকম আশাবাদী। আমি চেষ্টা করেছি আমার চরিত্র যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলতে।’
অভিনয় করতে করতে কি নির্দেশক হবার স্বপ্ন মনে উকি দেয়? মৃদু হেসে মম বলেন, ‘আমি এত মেধাবী কেউ নই। আমি খুব স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, আমাদের এখানে যারা নাটক টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন তারা নিঃসন্দেহে অনেক মেধাবী। কারণ তারা এতো কম বাজেটের মধ্যে কত চমৎকারভাবে একটি পূর্ণ গল্প দর্শকের সামনে তুলে ধরেন। তাই নিদের্শকদের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। সেইসাথে সহমর্মিতাও রয়েছে। কারণ তারা কঠিন বাস্তবতার মধ্যদিয়ে স্বল্প বাজেটে নাটক নির্মাণ করেন। সত্যিই এ এক অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমার পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। তাই নিদের্শকদের আমি স্যালুট জানাই।’
অভিনয়ের পথচলায় দীর্ঘ এক দশক পূর্ণ প্রসঙ্গে মম বলেন ‘দর্শকের চোখে আমার জন্য আমি যে ভালোবাসা দেখেছি, যে সম্মান দেখেছি এর চেয়ে বড় অর্জন, প্রাপ্তি আর কিছুই হতে পারে না। এটাই এই জীবনের বড় সার্থকতা। এভাবে আমি আরো বহুবছর কাজ করে যেতে চাই দর্শকের ভালোবাসা নিয়েই।’
ব্যক্তিজীবন কেমন যাচ্ছে আপনার?,‘ ব্যক্তি জীবনইতো নেই আমার। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুটিং-এ যাই, শুটিং শেষে বাসায় ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি। অভিনয় জীবনটাই আমি দারুণভাবে উপভোগ করছি। এর বাইরে আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। একজন সাধারণ বাঙালি মেয়ে আমি। খুব সাদামাটা জীবন আমার।’