অবশেষে রাজা সিদ্ধান্ত নেন সাংবিধানিক অধিকারবলে তিনিই প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। বেছে নিলেন প্রায় তিন দশক বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকা আনোয়ার ইব্রাহিমকে। বৃহস্পতিবার তাকে শপথ পড়ানো হয়। এর মধ্য দিয়ে উজ্বল এক প্রত্যাবর্তন ঘটলো ৭৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিকের। এর আগে সমকামিতা এবং দুর্নীতির অভিযোগে তিনি ১০ বছর জেল খেটেছেন। তবে এসব অভিযোগকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বানচাল করে দিয়েছেন। তার এমন খবরে সমর্থকরা আনন্দে ফেটে পড়েছেন। টুইটার সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটে ভেসে যাচ্ছে। এর মধ্যে একজন লিখেছেন, ১০ম প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করার সময় আমি ছিলাম বিমানবন্দরে। সেখানে শুনতে পেলাম জনগণ আনন্দে আর্তচিৎকার করছে। মানুষের মুখে প্রশস্ত হাসি। আরেকজন লিখেছেন, আনোয়ারের উত্থান আগামীর প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে। এটার জন্যই ২৪ বছর অপেক্ষা করেছিলাম। তিনি এর জন্য রাজনৈতিক নির্যাতন, জেল ভোগ করেছেন। তবে নীতি থেকে বিচ্যুত হননি।
আনোয়ার ইব্রাহিম সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৮ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে মনে করা হচ্ছিল, তখন এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের সময় তাকে তখনকার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বরখাস্ত করেন। এরপর আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে আনা হয় সমকামিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ। এর প্রতিবাদে তখন রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। এর পরের বছরে তাকে জেল দেয়া হয়।