অবরোধের শেষে মৎস্য শিকারে ব্যাস্ত উপকূলের জেলেরা
মোঃ ছালাহউদ্দিন,মনপুরা:
প্রজনন মৌসুমে ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩অক্টোবর ২০১৩ খ্রিঃ পর্যন্ত মোট ১১দিন মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখিত সময়কালে সরকার ঘোষিত ও চিহ্নিত উপকুলীয় এলাকার চারটি প্রধান ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রসহ সারা দেশে ইলিশ মাছ আহরন,পরিবহন,মজুদ,বাজারজাতকরন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অবরোধ শেষে জেলেরা আবার মেঘনায় মাছ শিকারের জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ছে। দীর্ঘ ১১ দিন অলস সময় পার করে নৌকা জাল নিয়ে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য আবারও ব্যাস্ত হতে দেখা গেছে জেলেদের। আবার অনেক জেলেদের দেখা গেছে অবরোধ সময় নিজেদের নৌকার জাল বুনতে ও ট্রলার মেরামত করতে। মৌসুমের প্রায় শেষ সময় এসেও মেঘনায় প্রচুর মাছ ধরা পড়বে এই আশা বুকে ধারন করে জেলেরা পুরোউদ্যোমে মেঘনায় ইলিশ শিকারে নামছে। উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার জেলে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। সরজমিনে মনপুরার উত্তর থেকে দক্ষিণের সকল ঘাটে ঘুরে দেখা যায়, জেলেরা তাদের ট্রলার, নৌকা উপর থেকে নদীতে নামাচ্ছে। কেউ আবার জাল ঠিক করছে। কেউ বাজার থেকে ক্রয় করে নিচ্ছেন জরুরি মুদি মালামাল। সর্বোপরি ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন উপকূলের ৩০ হাজার জেলে। জেলে মোছলেহউদ্দিন মাঝির সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, ভাই অনেক দিন হইছে নদীতে মাছ ধরতে যাইতে পারিনাই। আজকে হুনছি গত কাল রাইত ১২ টার পর অবরোধ শেষ হইয়া গেছে।এহন আমরা বেক জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে যাইমু। অপর এক জেলে মাইনুউদ্দিন মাঝি বলেন,আমরা অবরোধের সময় ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে যায়নি।এই ১১দিন সরকারতো আমাদের জন্য কোন পুর্নবাসনের ব্যাবস্থা করেনি।তাইলে আমাদের ছেলে মেয়েদের খাবার দাবারের সমস্যা হতোনা।এই ১১দিন আমরা খুব কষ্টে দিন কাডাইছি।এহন নদীতে মাছ ধরতে যাইমু।