অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড: গ্রেফতার শিবির নেতার মৃত্যু

19/05/2016 6:12 pmViews: 33
অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড: গ্রেফতার শিবির নেতার মৃত্যু
অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড: গ্রেফতার শিবির নেতার মৃত্যু
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজির অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী মুকুল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত শিবির নেতা হাফিজুর রহমান মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত হাফিজুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মহানগরীর ১৯নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ছিলেন। রামেক মর্গে তার ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
রাজশাহী কারাগারের সিনিয়র সুপার জানান, শিবির নেতা হাফিজুর রহমান আগে থেকেই রক্ত স্বল্পতা রোগে ভুগছিলেন। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৭ মে তাকে রামেক হাসপতালের প্রিজনসেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃত হাফিজুর রহমানের এক ভগ্নিপতি দাবি করেন, তাকে প্রতি সপ্তাহে রক্ত দিতে হতো। কিন্তু গ্রেফতারের পর থেকে পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রক্ত দেয়ার কোনো প্রয়োজনই বোধ করেনি। বিনা চিকিৎসায় হাফিজের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে, অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী মুকুল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক রেজাউস সাদিক জানান, গত ২৪ এপ্রিল দুপুরে আটক হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। পরে শুনানি শেষে মেট্টোপলিটন প্রথম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোকসেদা আজগর তাকে চার দিনের রিমান্ডের অনুমতি দেন।
পুলিশ রিমান্ডে মহানগর ডিবি কার্যালয়ে চারদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার হয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের আসামি করে ওইদিন বিকালে নিহতের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।

Leave a Reply