অগণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে বিএনপি’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চোরাপথে এবং অগণতান্ত্রিক উপায়ে কাউন্সিলের আগেই দলে চেয়ারপার্সন এবং ভাইস-চেয়ারপার্সন নির্বাচিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘মীর কাসেম আলীসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের দাবিতে’ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বক্তব্যে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্ব নির্বাচিত হয় কাউন্সিলের পরে। কিন্তু বিএনপির ক্ষেত্রে হয়েছে তার উল্টো। আসলে কাউন্সিলে বেগম জিয়া ও তারেক রহমান তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পরতে পারে এ ভয় থেকেই তড়িঘড়ি করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এ ছাড়াও শুনেছি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যসহ অনেকেই চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারপার্সন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত কেনার জন্য আগ্রহী ছিল।কিন্ত তাদের হুমকি-ধামকি দেয়া হয়েছে।
সরকার বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার পরে তারা সেখানে সম্মেলন করছে না। কারণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লক্ষ-জনতার সমাবেশ ঘটাতে হয়। কিন্তু বিএনপির সে ক্ষমতা নাই বিধায় তার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউটে সম্মেলন করছে। বক্তব্যে যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাত দশক পরেও যেমন নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তেমনিও আমাদের দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। দেশে যতক্ষণ পর্যন্ত একজন যুদ্ধাপরাধী থাকবে ততদিন পর্যন্ত এ বিচার প্রক্রিয়া চলবে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, শুধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলেই হবে না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয় দিয়েছে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিল, তাদেরও বিচার হওয়া প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে শিশু হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করে হাছান মাহমুদ আরো বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি আপনারা এর বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন গড়ে তুলুন। শিশু হত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সামাজিক সংহতি খুব বেশি প্রয়োজন। সুশীল সমাজদের বলবো সরকারের পান থেকে চুন খসলে আপনার সমালোচনা করেন, বিবৃতি প্রদান করেন। এখন শিশু হত্যার বিরুদ্ধে আপনারা নিশ্চুপ কেন?
সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার জাকির আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, ফজলুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।